কাঠ বাদাম কেন খাবেন? কাঠ বাদাম এর উপকারিতা বিস্তারিত জানুন

কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, যা আমাদের হৃদ যন্ত্র কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই কাঠ বাদাম কেন খাবেন? কাঠ বাদাম এর উপকারিতা বিস্তারিত জানুন । আজকের ব্লগে আমরা জানবো : কাঠ বাদাম এর উপকারিতা ,খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা , কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম , কাঠ বাদামে কী পুষ্টিগুন পাবেন, প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত ,কাঠবাদাম বেশি খেলে কী হবে? ,কাঠ বাদামের দাম

কাঠ বাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফসফরাস, কোলোন, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রিবোফ্লেভিন ও এল ক্যারনিটিন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এছাড়া কাঠ বাদামে বিদ্যমান মিনারেল হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত খাবার তালিকায় কাঠবাদাম রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, খারাপ কোলেস্টরল দূর হয়। তবে কাঠবাদাম খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে।

 

কাঠ বাদাম এর উপকারিতা

স্নাক্স হিসেবে কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে। আবার যে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবারের উপর কাঠবাদাম ছিটিয়ে খেলে স্বাদ এবং পুষ্টি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু তার আগে জেনে নিন কাঠবাদাম এর উপকারিতা গুলো কি কি?

কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
কাঠ বাদাম এর উপকারিতা

 

1.স্মৃতিশক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে

কয়েকটি বাদাম দুই ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ব্লেন্ডারে পানির সাথে কাঠ বাদাম ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ছাকনির সাহায্যে কাঠবাদাম থেকে পানিটুকু ছেঁকে নিলেই তৈরি কাঠ বাদামের দুধ। প্রতিদিন এই পানি পান করলে স্মৃতিশক্তি এবং দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।

2. চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে

চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন: চোখের নিচের চামড়ার বলিরেখা, চোখ ফোলা ভাব, চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে প্রতিদিন খাবার তালিকায় কাঠ বাদাম রাখুন।

3. ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে

কাঠবাদামের তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যেই ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়।

4. ত্বকের ভাঁজ পড়া দূর করে

কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করে, ত্বকের ভাঁজ পড়া রোধ করে, সব ধরনের কালো দাগ দূর করে।

5. হজম শক্তি বাড়ায়

নিয়মিত কাঠ বাদাম খেলে শরীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এনজ়াইম নিঃসরণ হয়, ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

6. শরীরের ফোলা ভাব ও অকালপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করে

কাঠ বাদামে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস শরীরের ফোলা ভাব দূর করে এবং বয়সের ছাপ দূর করে। এই উপকারিতা পাওয়ার জন্য ভেজানো কাঠ বাদাম খেতে হবে।

7. টিউমার প্রতিরোধ করে

কাঠ বাদামে বিদ্যমান ফ্ল্যাভোনয়েড টিউমার সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

8. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

কাঠ বাদামে বিদ্যমান ফসফরাস এবং সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

9. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

প্রতিদিন সকালে কাঠবাদাম ভিজানো পানি অথবা ভেজানো কাঠবাদাম খেলে কোলন ক্যান্সার প্রতিহত হয়।

10. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে

সকালে খালি পেটে কাঠবাদাম খেলে সারাদিনের ক্ষুধা কমে আসে। ফলে প্রাকৃতিকভাবে কম খাদ্য গ্রহণের ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

11. ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয় ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে। এবং পাশাপাশি কাঠবাদাম খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে শরীরে ভালো কোলেস্টেরল সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।

12. হার্ট সুস্থ রাখে

কাঠ বাদামে বিদ্যমান প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই হৃদ রোগের ঝুঁকি কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক এর হাত থেকে রক্ষা করে।

13. পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে

একমুঠো কাঠবাদাম থেকে পাওয়া যায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ভিটামিন ই। তাহলে বুঝতেই পারছেন কাঠবাদাম পুষ্টির ঘাটতি কিভাবে পূরণ করে!

খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা অসংখ্য। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে, শরীরের ফোলাভাব কমায় এবং যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যিই, কাঠ বাদামের অনেক গুণাগুণ রয়েছে।

ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ কাঠ বাদাম রান্না করেও খাওয়া যায়। ক্ষীর বা পায়েসের উপর গার্নিশ করেও এর স্বাদ উপভোগ করা যায়। উত্তর ভারতে বাদামি কোর্মা নামে একটি পদ খুব জনপ্রিয়, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাঠ বাদাম দিয়ে তৈরি হয়।

চিকিৎসকদের মতে, এক বাটি পানিতে কাঠ বাদাম সারা রাত ভিজিয়ে রাখলে এর উপরের বাদামি খোসা সহজেই উঠে আসে। খোসা ছাড়িয়ে সাদা বাদামটি এক সপ্তাহ সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। খোসা ছাড়ানো অবস্থায় কাঠ বাদাম অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে।

 

কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম

কাঠবাদামে মোট চর্বির পরিমাণ ৮০ শতাংশ। যেহেতু চর্বি হজম হতে বেশি সময় লাগে, তাই স্বাভাবিকভাবেই কাঠবাদাম পরিপাক হতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫-১০ টি কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। চলুন জেনে নেই কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম গুলো কি কি?

কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম

 

 

  • কাঁচা কাঠবাদাম শরীর গরম করে তুলতে পারে, তাই ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়া উচিত।
  • কাঠবাদাম ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে উপরের পাতলা খোসা ছাড়িয়ে তারপর খেতে হবে।
  • কাঠবাদাম গুড়া করে বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • উষ্ণ গরম দুধের সাথে কাঠবাদাম গুড়া মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  • কাঠবাদাম রাতে খাওয়া উচিত নয়, সেক্ষেত্রে সারারাত কাঠ বাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে কাঠবাদাম ভেজানো পানি এবং ভেজানো কাঠ বাদাম দুটোই খেতে পারেন।
  • কাঠবাদাম খাওয়ার সময় চিচিং করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন, এটি বেশি স্বাস্থ্যকর।

কাঠ বাদামে কী পুষ্টিগুন পাবেন

কাঠ বাদামে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং রিবোফ্লাভিনের মতো পুষ্টিগুণ রয়েছে। পাশাপাশি এতে আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং বি ভিটামিনের মধ্যে নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ফোলেটও থাকে। কাঠ বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং প্রচুর ফাইবার।

 

প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত

কাঠবাদাম অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় বেশি খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। আপনি যদি প্রতিদিন ২৮ গ্রাম কাঠবাদাম খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরে পুষ্টিগুণ পৌঁছাবে ফাইবার ৩.৫ গ্রাম, চর্বি ১৪ গ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ, ২০%, ভিটামিন ই ৩৭%, ভিটামিন বি ১২, ১৬১ ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট ২.৫ গ্রাম। এই সবগুলো উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো কাঠ বাদাম খেতে হবে। 

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৫-১০ টির বেশি কাঠ বাদাম খাওয়া একদম উচিত নয়। দীর্ঘদিন কাঠ বাদাম সংরক্ষণ করে খাওয়ার জন্য ফ্রিজে রাখুন। আবার প্রথম শুকিয়ে গুড়ো করে রাখলেও অনেকদিন ভালো থাকে। তবে কাঁচা কাঠবাদাম অনেকদিন যাবত বাইরে রেখে না খাওয়াই ভালো।

যদি সকালে খালি পেটে কাঠ বাদাম খেতে না পারেন তাহলে দিনের যেকোনো সময় স্নাক্স হিসেবে এক মুঠো কাঠবাদাম খেয়ে নিন। প্রতিদিন কয়টা কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত আশা করি এ সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।

 

কাঠবাদাম বেশি খেলে কী হবে?

কাঠবাদাম অতিরিক্ত খেলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, কারণ অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। যদিও কাঠবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর, তবু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই ও ফাইবারে সমৃদ্ধ এই বাদামটিকে ভারসাম্য রেখে খাওয়া উচিত। বেশি খেলে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, তা হলো:

 

১. অতিরিক্ত ভিটামিন ই-এর বিষক্রিয়া

ভিটামিন ই ত্বক, চোখ এবং রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেলে ভিটামিন ই-এর বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যা বদহজম, ডায়রিয়া এবং পেটের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

২. ওজন বৃদ্ধি

কাঠবাদাম ক্যালরি ও ফ্যাটে সমৃদ্ধ। অতিরিক্ত খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হয়ে ওজন বাড়তে পারে।

৩. কিডনিতে পাথর

কাঠবাদাম প্রচুর অক্সালেট উৎপন্ন করে, যা অতিরিক্ত হলে কিডনিতে পাথর গঠনের কারণ হতে পারে। এটি কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

৪. হজমে সমস্যা

কাঠবাদামে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড শরীরে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং জিঙ্কের শোষণ বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে।

সুতরাং, কাঠবাদামের উপকারিতা পেতে তা সঠিক পরিমাণে খাওয়া জরুরি।

কাঠ বাদামের দাম

অনলাইনের বিভিন্ন বিশ্বস্ত পেজ, অথবা বাজার থেকে দেখেশুনে কাঠবাদাম ক্রয় করতে পারেন। অন্যান্য বাদামের তুলনায় কাঠ বাদামের দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। চলুন কিছু ভালো ব্রান্ডের কাঠবাদামের দাম জেনে নেওয়া যাক:

ব্রান্ডের নাম

মূল্য

আলমন্ড নাটস কাঠবাদাম (৫০০ গ্রাম)

৬৯৯ টাকা

আলমন্ড কাঠ বাদাম ( ১ কেজি)

১২৯৯ টাকা

আলমন্ড কাঠ বাদাম (১০০ গ্রাম)

১৩৫ টাকা

কাঠ বাদাম আলমন্ড নাটস (২৫০ গ্রাম)

৩৪৫ টাকা

ভাজা কাঠবাদাম (৫০০ গ্রাম)

৭৫০ টাকা।

 

ব্রান্ড হিসেবে অথবা বাজার পরিস্থিতির উপর বেশিরভাগ সময় কাঠবাদাম এর দাম উঠানামা করে। তবে কাঠবাদাম ক্রয় করার সময় ফ্রেশ এবং নতুন কাঠ বাদাম ক্রয় করার চেষ্টা করবেন। বেশি কাঠ বাদাম ক্রয় করে সংরক্ষণ করতে না পারলে অল্প করে ক্রয় করুন।

জনপ্রিয় ব্লগ: কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

 

উপসংহার

যারা কাঠ বাদাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাচ্ছিলেন, তাদের জন্যই সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা। কাঠবাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে খাবার চেষ্টা করবেন এবং দুধের সাথে কাঠবাদাম গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজন এর থেকে বেশি কাঠ বাদাম সেবনে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস সহ আরো নানান ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই কাঠ বাদাম সেবনে সচেতনতা অবলম্বন করুন।

 

সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

১)কাঠ বাদাম কখন খাওয়া উচিত?

উঃ সকালে খালি পেটে কাঠবাদাম ভেজানো পানি এবং ভেজানো কাঠ বাদাম দুটোই খেতে পারে।

 

২)কাঠবাদাম খেলে কি ক্ষতি হয়?

উঃ প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাঠ বাদাম খেলে হজমের সমস্যা হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এবং অতিরিক্ত পেটে ব্যথা হতে পারে।

 

৩)কাঠবাদাম খেলে কি প্রেসার বাড়ে?

উঃ পরিমিত পরিমাণে কাঠবাদাম খেলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে প্রয়োজনের অধিক কাঠবাদাম খেলে উচ্চ রক্তচাপ সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

Spread the love

1 thought on “কাঠ বাদাম কেন খাবেন? কাঠ বাদাম এর উপকারিতা বিস্তারিত জানুন”

Leave a Comment